Tuesday, January 10, 2017

দূর থেকে ফেসবুক লগ আউটের কৌশল!


অন্যের যন্ত্রে বা সাইবার ক্যাফেতে ফেসবুকে লগ আউট করতে ভুলে গেলে তা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই দূর থেকে লগ আউটের প্রক্রিয়াটি জেনে নিন-
প্রথমে ফেসবুক মেনুতে গিয়ে সেটিংস অপশন নির্বাচন করুন। এর বাঁ দিকে একটি সিকিউরিটি বাটন পাবেন। এটিতে ক্লিক করুন। এটি সিলেক্ট করে নিলে ডানদিকে কতগুলো অপশন পাবেন। যার মধ্যে ‘হয়্যার ইউ আর লগড ইন’ অপশনটি বেছে নিয়ে এর পাশের এডিট বাটনটি চাপুন।
এরপর আপনি আপনার বর্তমান ফেসবুক ব্যবহারের সময়, স্থান ও যন্ত্রের ধরন প্রভৃতির বিবরণ পেয়ে যাবেন। যার প্রতিটি অপশনের পাশে ‘এন্ড অ্যাকটিভিটি’ বাটনটি পাবেন। এবার যে যন্ত্র থেকে লগ আউট করতে চান তার পাশে ‘এন্ড অ্যাকটিভিটি’ বাটনটি চাপলেই লগ আউট হয়ে যাবেন। এছাড়া যতগুলো যন্ত্রে লগ ইন করা ছিল, চাইলে বাকিগুলো থেকেও লগ আউট করতে পারেন।

*ডোমেইন ও হোস্টিং কিনার আগে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়*


সাত পাঁচ না ভেবেই শুরু করে দিলে পরে আপনার সব হোস্টিং ফাইল অন্য হোস্টে সরানোর ঝামেলা পোহাতে হতে পারে ও ডোমেইন ট্রান্সফার করা লাগতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধানে এবং বুঝে শুনে শুরু করা ভালো।

ডোমেইনঃ

ইন্টারনেটে অগণিত নামীদামী ডোমেইন বিক্রেতা আছেন, তাদের কাছে থেকে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ডোমেইন কিনবেন ? নাকি আপনার স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকে কিনবেন ? ধরুন আপনার জনপ্রিয় ডোমেইন হ্যাক হয়ে গেল, সেই ডোমেইন ফেরত পেতে অনেক ঝামেলা হতে পারে, যদি সেই ডোমেইন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নিজে কিনে থাকেন। প্রথমেই ডোমেইন রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করা, তাকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা ইমেইলে জানানো, এর পরে নিজের আইডেন্টিটি প্রমাণের ব্যাপার আছে। ক্রেডিট কার্ড নিজের নামে না হয়ে পরিবারের কারো নামে কিংবা বন্ধুবান্ধবের নামে হলেই কেলেঙ্কারি, তাদেরকে নিয়ে টানাটানি, তারা ভেরিফাই না করলে ডোমেইন ফেরত পাবেন না।
এইসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকেই কেনা ভালো। তারাও তাদের ক্রেডিট কার্ড দিয়েই কিনে, আপনি যেখান থেকে কিনবেন তারাও হয়তো সেখান থেকেই কিনে, কিন্তু তার পরেও তারা হচ্ছে রিসেলার এজেন্ট, কোম্পানীর সাথে আপনার চেয়ে তাদের আরও কাছের যোগাযোগ, তারা অনেক সহজেই আপনার ডমেইন আপনাকে ফেরত এনে দিতে পারবে। যেহেতু স্থানীয়, তাই তারা আপনাকে চিনবে, আইডেন্টিটি প্রমাণের প্রশ্ন আসবে না। তাই, আমি বলব যে, ডোমেইন স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকে কেনাই ভালো। তাছাড়াও, সব সময় টপ লেভেলের ডোমাইন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, যদিও দাম একটু বেশি পড়বে। তবে আপনি থাকবেন নিরাপদ। কম টাকার প্রমো ডোমেইন কিনা থেকে দূরে থাকুন।

হোস্টিং কিনাঃ

হোস্টিং কিনতে পারেন মাষ্টার কার্ড, পেপাল ইত্যাদি দিয়ে বা স্থানীয় বিক্রেতার কাছ থেকে। কিন্তু কি কি ফিচার আপনার প্রয়োজন ? তালিকায় অনেক কিছুই লেখা থাকে, সব কি আপনার দরকার ? তালিকায় লেখা প্রচুর ফিচার দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়ে হোস্টিং না কিনাই ভালো। আবার এও ঠিক যে, তালিকায় লেখা অনেক ফিচার আপনার অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে ভবিষ্যতে। আসুন জেনে নিই ?
আপনি কি একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বানাতে চান ? সেক্ষেত্রে তথাকথিত 'আনলিমিটেড' হোস্টিং আপনার একেবারেই প্রয়োজন নেই। কম টাকায় পেয়ে গেলেও না। তাতে কিই বা হোস্টিং করবেন যাতে 'আনলিমিটেড' স্পেস লাগতে পারে ? কারন আপনি প্রচুর পরিমানে অডিও/ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। সার্ভারে MP3 রেখে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেইসব ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া কিন্তু বেআইনি। কপিরাইটের ঝামেলা আছে। আপনি গান বাজনার সাথে যুক্ত হলে আপনার নিজস্ব মিউজিক ফাইলগুলি রাখার ক্ষেত্রেও আগে জিজ্ঞেস করে নেবেন, অনেক হোস্টিং বিক্রেতা তাদের terms & conditions'এ লিখেই দেন যে বহু পরিমানে মিডিয়া ফাইল লোড করে রাখা যাবেনা। ব্যক্তিগত কিছু ভিডিও নিশ্চয় রাখতে পারেন, তাও কতোখানি, সেটা জিজ্ঞেস করে নেবেন সাপোর্টে ইমেইল করে।
আপনি কি বানিজ্যিক ওয়েবসাইট কিংবা ফোরাম কিংবা  ব্লগিং ওয়েবসাইট বানাতে চান ? এক্ষেত্রেও আমি বলবো যে আনলিমিটেড হোস্টিংয়ের প্রয়োজন নেই, লিমিটেড শেয়ার হোস্টিং হলেই হবে। Bandwidth সেখানে বেশি জরুরী জিনিস, একটি হোস্টিং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে পড়লাম যে "MySQL database Unlimited (200MB)" অবস্থা বুঝতে পারছেন ? একদিকে লেখা আনলিমিটেড, কিন্তু ব্র্যাকেটে লেখা ২০০ মেগাবাইট। সাপোর্টে ইমেইল করে জানলাম যে এখানে Unlimited মানে অগনিত সংখ্যায় ডেটাবেস বানাতে পারলেও এক একটির সাইজ যেন 200MB পার না করে ! সুতরাং এইসব জেনে নেবেন। ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইটে ডেটাবেস সাইজ কিন্তু বাড়বে। আবার Bandwidth বিষয়টিও মাথায় রাখবেন। অনেক কোম্পানীই লেখে আনলিমিটেড, কিন্তু এখানে লেখার মধ্যে সামান্য কারিগরির ব্যাপার আছে। তাই ভাল করে জেনে নিন।
VPS কিনলেই যে খুব সুবিধা পেয়ে যাবেন তা নাও হতে পারে। সেটা নির্ভর করবে সেই সার্ভারের RAM, Processor (Single or Dual or Quad processor) ইত্যাদি অনেক কিছুর উপরে। ভারী ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে হলে বুঝে শুনে ভালো কনফিগারেশানের ডেডিকেটেড সার্ভার নিতে হবে। সেই সার্ভারের ইন্টারনেট গেটওয়ে কেমন, কোন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত, সার্ভারের ডেটাসেন্টার কোন দেশে, তার পিং স্পিড কত, আপটাইম কেমন সেইসব জেনে নেওয়াও জরুরী। একজন দায়িত্ববান ওয়েব মাস্টার হতে গেলে এইসব জানা নিতান্তই জরুরী।
সাত পাঁচ না ভেবেই শুরু করে দিলে পরে আপনার সব হোস্টিং ফাইল অন্য হোস্টে সরানোর ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধানে এবং বুঝেশুনে শুরু করা ভালো। এতে নিজের টাকার সঠিক মূল্য পাবেন, দায়িত্ববান ওয়েব মাস্টার হয়ে উঠতে পারবেন, সার্চ ইঞ্জিনেও র‌্যাঙ্ক ধরে রাখতে সক্ষম হবেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম ভাল থাকুন।

Monday, January 9, 2017

আপনি কি গ্রাফিক্স ডিজাইনার? গ্রাফিক্স রিভারে এখনো কোন আইটেম এপ্রুভ করাতে পারেননি তাহলে এই টিউনটি আপনার জন্য


কেমন আছেন সবাই। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ভুল ধরিয়ে দিবেন আমি ঠিক করে নিব।
আমরা অনেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য খুব আগ্রহি অনেকে আবার কোর্স করেও কোন কিছুই করতে পারেননি বা ইনকাম হয়না কাজ নাই বলেই ছেড়ে দিয়েছেন। আসলে ইনকাম এত সহজ না কঠোর পরিশ্রম এবং অনেক সময় ব্যায় করার পর ই সফলতা আসবে।
আজকে আমি গ্রাফিক্স রিভার নিয়ে কথা বলবো, এতে নতুন এবং মিড লেভেল এ যারা আছেন তাদের অনেক উপকারে আসবে আশা করছি।
যাদের কোস চলছে এবং ফটোশপ শেষ তারা অবশ্যই জানেন গ্রাফিক্স রিভার কি? তারপর ও নতুনদের জন্য বিস্তারিত বলে দিচ্ছি।
গ্রাফিক্স রিভার কি?
গ্রাফিক্স রিভার একটি  Resalable মার্কেটপ্লেস।গ্রাফিক্স রিভার এনভাটোরই একটি সাইট, আপনি এই সাইটে আপনার ডিজাইন বিক্রি করতে পারবেন। ডিজাইন বা আপনার আইটেম বিক্রি হলে আপনি প্রতি সেলে ৫০% পাবেন।
আমি কি সব ডিজাইন জমা দিবে পারবো বা বিক্রি হবে?
না আপনার ডিজাইন যদি মানসম্মত হয় তাহলেই আপনার ডিজাইন এপ্রুভ হবে। আর ডিজাইন যদি এপ্রুভ হয় তাহলে সেলের সম্ভবনা ৯০% আপনার ডিজাইন বিক্রি হবেই।
কি কি ডিজাইন সেল করতে পারবো?
আপনি business card, brochure, flyer, folder, email signature, product mockup, invitation card, letterhead, icon, resume, web template, ইত্যাদি ডিজাইন তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন।
কিছু কথা:
গ্রাফিক্স ডিজাইনার যারা আছেন তাদের অধিক ডিজাইনাররাই ভুল করেন, আমি সবাইকে বলছিনা। কাজ শেখার পর সবাই চলে যান বিভন্ন মার্কেটপ্লেসে এতে অনেক সময় লাগে ভাল প্রোফাইল দাড় করাতে। ভাল প্রোফাইল থাকলে ও যে প্রতি মাসে কাজ পাবেন তার কোন গ্যারান্টি নেই। বা কোন কারন বসত যদি আপনার একাউন্ট যদি ব্যান হয়ে যায় আর কোন কারন বসত যদি সেটি না পান তাহলে কি করবেন? আপনি যেখানে ছিলেন ঠিক সেইখানেই চলে যাবেন আপনি হয়ে যাবেন ০।
তাই আমি বলবো মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার আগে আপনার নিজের পোটফোলিও সাইট বা বিভিন্ন পোটফোলিও সাইটে নিজের ডিজাইনের ভাল পোটফোলিও তৈরি করে রাখা এতে আপনি ডাইরেক্ট ক্লাইন্ট পাবেন। এছাড়া মার্কেটপ্লেসে ও ক্লাইন্টদের দেখাতে পারবেন।
এবং সবচেয়ে বড় কথা আমি যেটি বলবো গ্রাফিক্সরিভারে অথবা অনান্য Resalable মার্কেটপ্লেসে নিজের ভাল প্রোফাইল তৈরি করা। ভাল প্রোফাইল বলতে অনেকগুলি প্রোডাক্ট এপ্রুভ করানো। আপনি যদি ২০০ আইটেম এপ্রুভ করাতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে আপনি বেশকিছু ডলার বারতি ইনকাম হবে কোন প্রকার কষ্ট ছাড়ায়।
তাই আমি বলবো এইসব Resalable মার্কেটপ্লেসে নিজের ভাল প্রোফাইল তৈরি করতে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন গ্রাফিক্স রিভার কি? গ্রাফিক্স রিভারে যারা কাজ করেন তারা অবশ্যই জানেন এদের মার্কেটপ্লেস এ কোন প্রোডাক্ট এপ্রুভ করাতে গেলে খুব ভাল ডিজাইন করতে হয়, তাছাড়া ঐ প্রোডাক্ট এপ্রুভ হয়না। হার্ড রিজেক্ট হয়।
তবে অধিক গ্রাফিক্স ডিজাইনারাই বিজনেস কাড থেকে শুরু করেন।
গ্রাফিক্স রিভারে কোন আইটেম এপ্রুভ করাতে গেলে অনেক বিষয় নিয়ে রিসাচ করে নিতে হয়। এবং PSD ফাইল খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে হয় যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়।
আমি পরবর্তি টিউন এ বলবো কিভাবে বিজনেস কাড তৈরি করবেন এবং ডাই কাট, ব্লিড,সেফ লাইন ইত্যাদি কিভাবে দিবেন কিভাবে psd লেয়ার গুলি সাজাবেন এবং গ্রাফিক্স রিভারে এপ্রুভ করাবেন।
এবং আমি ধিরে ধিরে আপনি business card, brochure, flyer, folder, email signature, product mockup, invitation card, letterhead, icon, resume, web template, ইত্যাদি আইটেম নিয়ে বিস্তারিত টিউন করবো স্ক্রিনশটসহ।
এবং আপনাদের সুবিধার জন্য এপ্রুভ হওয়া আইটেম দিয়ে আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো।

জেনে নিনি Google থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে বের করার সহজ কিছু টিপস।


হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আশারাখি সবসময় ভালো থাকবেন।
আমার আগের করা কিছু টিউনঃ
আজকে যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটা হচ্ছে Google থেকে কীভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য খুব সহজে খুজে বের করা যায়। যেমনঃ মুভি, বই, বিবিন্ন ফাইলের ডাউনলোড লিঙ্ক এছাড়াও প্রয়োজনীয় যেকোন তথ্য খুব সহজে কীভাবে খুজে পাওয়া যায়।
এই ট্রিকস গুলা হইতো অনেকে যানেন আবার অনেকে যানেন না। আমার এই টিউন শুধু তাদের জন্য যারা এই ট্রিকস গুলা যানেন না।

ব্লগিং করে আয় করুন সহজে !


অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। তন্মধ্যে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হল ব্লগিং। অনেকেই শখ করে লেখালেখি করেন, অনেকেই বিভিন্ন বিষয় জানতে ও অন্যকে জানাতে ভালবাসেন। এসবের মঝে যদি কিছু রোজগারও হয় তবে খারাপ কী ! এমনকি অনেকে একে পেশা হিসেবে নিয়ে হাজার থেকে লাখ টাকাও রোজগার করছেন !
ব্লগিং কীঃ  আমরা কম বেশি সবাই ব্লগ বা ওয়েব ব্লগ শব্দটির সাথে পরিচিত। ইন্টারনেট জগতে “ব্লগ” এর বয়স দশ পার হয়েছে। Blog শব্দটির আবির্ভাব Weblog থেকে। Weblog শব্দটিসর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় দশ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর। শব্দটির স্রষ্ট্রা মার্কিন নাগরিক জন বার্জার। এর ঠিক দু’বছর পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পিটার মহোলজ নামে একব্যক্তি Weblog শব্দটিকে ভেঙ্গে দুই ভাগ করেন- We Blog এর পরই সারা বিশ্বব্যাপী ব্লগ জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
এরপর থেকে ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি ব্লগিং হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করে। যেকোন বিষয় যেমন খেলাধুলা, রাজনীতি, সাহিত্য ইত্যাকার বিষয় নিয়ে ব্লগ শুরু করতে পারেন।
 কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেনঃ ব্লগিং দুভাবে শুরু করতে পারেন।
  1. নিজে একটা সাইট খুলে।
  2. অন্যের সাইটে লেখালেখি করে।
নিজে একটা সাইট খুলে লেখালেখি করতে পারেন টাকা খরচ করে অথবা ফ্রিতে। ফ্রিতে ব্লগস্পটে, ওয়ার্ডপ্রেসে একটা সাইট খুলে ফেলুন। খুব সহজ। একটা জিমেইল একাউন্ট থাকলেই হল।
আর বাইরের সাইটে লিখতে পারেন একাউন্ট খুলে। এক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট ব্লগ সাইটে একটি ব্লগঅ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার সময় আপনার ই মেইল আইডি প্রয়োজন হবে। একটি নির্দিষ্ট নামে (বাংলায়) আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে যেটা হবে আপনার পরিচয়। ব্লগে আপনাকে সবাই ঐ নামেই চিনবে। এই নামটি পরবর্তীতে পরিবর্তনযোগ্য নয়। এছাড়াও ব্লগ অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য প্রয়েজন হবে একটা Username এবং Password এর। এমন একটি Username হতে ববে যা ঐ ব্লগ সাইটে আর কারো দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে না। আপনার ব্লগ অ্যাকাউন্ট সফলভাবে খোলার পর আপনার দেয়া নির্দিষ্ট Username এবং Password দিয়ে লগইন করে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে হবে। লগইন করে ঢোকার পর আপনি নতুন ব্লগ বা নতুন টিউন লিখতে পারবেন এবং তা ব্লগে প্রকাশ করতে পারবেন।
 ব্লগিং করে আয় কিভাবে হয়ঃ ব্লগিং করে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। যেমন
  1.  আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে, 
  2. কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করে অথবা 
  3. কোন আউটসোর্সারকে কন্টেন্ট লিখে দিয়ে। 
বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হলে আপনাকে একটি ভালমানের সমৃদ্ধ সাইট বানাতে হবে। ভাল বলতে এই নয় যে এটি অনেক সুন্দর, ঝকমকে ওয়েবসাইট হতে হবে। দেখতে ভাল হলে তো ভালই, তবে এখানে অবশ্যই তথ্যবহুল, সৃজনশীল লেখা থাকতে হবে। যাতে পাঠক তার চাহিদা মাফিক লেখা পায়। তাহলেই আপনি আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে লাভবান হবেন।
 ১.বিজ্ঞাপন প্রকাশঃ
 বিজ্ঞাপন কোথায় পাবেনঃ দুটি উপায়ে বিজ্ঞাপন পেতে পারেন।
  1. নিজে বিভিন্ন কোম্পানিতে যোগাযোগ করে
  2. অনলাইন মাধ্যম থেকে
নিজে জোগাড় করতে চাইলে বিভিন্ন কোম্পানিতে যোগাযোগ করুন। আপনার সুবিধা মত তাদের সাথে চুক্তি করুন। তারপর তা আপনার সাইটে প্রকাশ করে তাদের কাছ থেকে বিল নিন।
আর অনলাইনে বিজ্ঞাপন পেতে হলে সবচে জনপ্রিয় মাধ্যম হল অ্যাডসেন্স। যা গুগল কর্তৃক পরিচালিত। গুগল বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বিজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব পায় যা আপনার সাইটে গুগল কর্তৃক প্রকাশিত হলে আপনাকে গুগল নির্দিষ্ট লভ্যাংশ দেবে। এছারাও রেভিনিউ ইট, চিতিকা, ইলিক্স ইত্যাদিও রয়েছে।
 ২.কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করে
নিজ পন্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। অথবা কমিশনের ভিত্তিতে অন্নের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। যাকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আলাদা একটি ক্ষেত্র হলেও ব্লগিং -এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত। এখন প্রশ্ন, ব্লগিং এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্পর্কটা কি? ধরুন, আপনার সফটওয়্যার বিষয়ক কোন ব্লগটি আছে। সেখানে যথেষ্ট ভিজিটরসও আছে। তাহলে আপনি কোন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রিমিয়াম সফটওয়্যার কমিশনের মাধ্যমে অনলাইনে সেল করার চুক্তি করলেন।
৩.আউটসোর্সারকে কন্টেন্ট লিখে দিয়ে
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স সাইটে কনটেন্ট রাইটের হাইয়ার করা হয়। এখানেও কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে লিখে দেয়া। এটাও ব্লগিং করে আয়ের অন্যতম একটি উপায়।
ব্লগিং করতে যা যা প্রয়োজনঃ
  • ১.ব্লগিং করতে আপনার অবশ্যই যা প্রয়োজন তা হল আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন।
  • ২.একটা ইমেইল অ্যাকাউন্ট।
  • ৩.নির্দিষ্ট ব্লগের সাইটে আপনার একটা ব্লগ অ্যাকাউন্ট।
  • ৪.আপনার কম্পিউটারে অভ্র, বিজয় কিংবা যে কোন টাইপিং সফটয়্যার ইনস্টল থাকতে হবে।
  • ৫.টাইপিংস্পিড মোটামুটি সন্তোষজনক হতে হবে।
  • ৬.ব্লগ সাইটের কিছু শব্দের সাথে পরিচিত হতে হবে এবং ব্লগের নীতিমালা গুলো জানা থাকতে হবে।
 ভাল ব্লগিং করবেন কিভাবেঃ ব্লগিং করে সফল হতে হলে আপনাকে পরিশ্রমী, ধৈর্যশীল ও অনুসন্ধিৎসু হতে হবে। আপনার পছন্দের যেকোন বিষয় নিয়ে আগে সম্যক জেনে নিন। তারপর তা নিয়ে লেখালেখি শুরু করুন। আমি মাত্র তিন মাসের মাথায় আমার এই সাইটে ব্লগিং করে ইনকাম করছি। আপনিও পারবেন ! লেখার সময় অবশই সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলকপাত করতে ভুলবেন না। প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি দেবেন। তারপর ঝটপট লিখে ফেলুন !

পিএইচপি শিখতে চান? হতে চান ওয়েব ডেভেলপার?


পিএইচপি শিখতে চান? ওয়েব ডেভেলপার হইতে চান? এক্সাইটিং সব ওয়েব এপ বানাইতে চান? সিভিতে নতুন স্কিল যুক্ত করে ভারী করতে চান? তাহলে আর দেরি না করে এখনই এই টিউনটিকে নির্বাচিত করে  পড়া শুরু করুন। উপকৃত না হলে নির্বাচিত থেকে রিমুভ করার
গ্যারান্টি দিলাম
গ্যারান্টি দিলাম
গ্যারান্টি দিলাম।
আপনি কি অমুক এক্সপার্ট তমুক এক্সপার্ট, অমুক বড়ভাই, তমুক দাদা এর দ্বারে দ্বারে পিএইচপি শেখার জন্যে ঘুরে ঘুরে হতাশ হয়েছেন? সবাই খালি মুখে মুখেই চাপা মারার উস্তাদ? আসল কাজ শেখানোর সময় ঘুরাঘুরি করে? আপনি কি বিভিন্ন
"সাত দিনে হউন পিএইচপি এক্সপার্ট" বা
"হাতে ধরে পিএইচপি শেখাই"
কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে বাপের টাকার ঝালমুড়ি বানিয়ে খেয়েছেন?
এখন আপনার সারাদিন সারারাত হতাশায় কাটে আর ভাবেন আপনি কি পারবেন সফল হতে? বাবা মা'র সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে? আপনার তো সাইজ ছোট! (মনিটরের স্ক্রিনের)। স্ত্রীর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে? তাহলে আর দেরি না করে এখনই চলে আসুন পিএইচপি আহসান বাবার কাছে
পিএইচপি আহসান বাবা
পিএইচপি আহসান বাবা
পিএইচপি আহসান বাবা
পিএইচপি আহসান বাবার নিজ হাতে বাছাইকরা ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত নবীশ থেকে পিএইচপিতে দক্ষ হবার একমাত্র টিউন
চলে এসেছে
চলে এসেছে
চলে এসেছে।

ওয়েব সাইটে বাংলা লিখার সঠিক পদ্ধতি|| পুরাতন বিজয়ে টাইপ করা ফাইলগুলো কিভাবে সহজেই ইউনিকোডে রূপান্তর করবেন? কোন সফটওয়্যার ইন্সস্টল ছাড়াই


একটা সময় ছিল যখন বাংলায় ইন্টারনেটে কোন লেখা সার্বজনীন ভাবে/ সকল ডিভাইসে দেখানোটা কষ্টকর ছিল। বাংলা ইমেল করতে হলে টেক্সগুলোকে ইমেজে কনভার্ট করে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে আমাদের একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে (২/১টি)  ওয়েব পেইজে বাংলা লিখার যে পদ্ধতি দেখানো হয়েছে সেটাও গ্রহনযোগ্য নয়। আমাদের যদি পুরাতন কোন ফাইলে বিজয় ব্যবহার করে বাংলা লিখা থাকে আমরা যদি সেই ফাইলের টেক্সগুলোকে ইউনিকোডে রূপান্তর করে ওয়েব পেইজ এ প্রদর্শন করতে চাই তাহলে কোন সফটওয়্যার ইন্সস্টল না করেও শুধু একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সাইট থেকে সরাসরি রূপান্তর করে নিয়ে সহজে্েই যে কোন ওয়েব সাইটে ব্যবহার করতে পারবো। বিস্তারিত জানতে হলে পুরো ভিডিও টিউটোরিয়ালটি দেখুন-


ইউনিকোডঃ
ASCII ও  EBCDIC সীমিত প্রতীক নিয়ে কাজ করতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই ১৯৯১ সালে Unicode Consortium International Organization for Standardization (ISO) যৌথভাবে ইউনিকোডের  উন্নয়ন করনে। যা ইউনিভার্সাল কোড নামে পরিচিত।  এই পদ্ধতিতে গাণিতিক ও প্রায়োগিক প্রতীককে কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণের জন্য বোধগম্য করতে পারে। ইউনিকোড পূর্ব পর্যন্ত ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন ভাষায় তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব ছিলনা।
কম্পিউটারের টেক্সটকে আভ্যন্তরীন প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণ করায় এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। Windows, Java, Android, Mac OS, Linuxসহ সকল আভ্যন্তরীণ অক্ষর এককোডিং-এ ইউনিকোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভূক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি কোড তৈরি করেছে যাকে ইউনিকোড বলে। এটি ২ ‍১৬=৬৫৫৩৬টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। সে সকল দেশের ভাষাকে প্রকাশ করতে ৮ বিটের বেশি বিটের কোডের প্রয়োজন হয় তাদের জন্য ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়।
১৯৯৯ সালে অ্যাপল কম্পিউটার কর্পোরেশন এবং জেরক্স কর্পোরেশন এর যৌথ প্রচেষ্টায় একদন প্রকৌশলী এই কোড উদ্ভাবন করেন। এর মধ্যে ৩৯০০০ প্রতীক ইউনিকোডের আওতায় আনা হয়েছে যার মধ্যে চীনা ভাষার ২১,০০০। বর্তমানে বাংলা ভাষাও ইউনিকোডভূক্ত।
এর বৈশিষ্ট্যঃ
১. বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভূক্ত করা যায়।
২. ক্যারেক্টারকে কোড করার জন্য ১৬ বিটই ব্যবহার করা যায়।
৩. ইউনিকোড থেকে অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড কোডে পরিবর্তন করা যায়।
৪. ইহা ১৬ বিটের অদ্বিয় কোড ফলে ২ ‍১৬=৬৫৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।
৫. এই কোড ব্যবহার করলে নিজস্ব ভাষায় কম্পিউটার পরিচালনা করা সম্ভব।

 
Design by Tech Raihan Yt | Bloggerized by Md Shakib Raihan - Premium Blogger Themes | TecH Raihan