ইউনিকোডঃ
ASCII ও EBCDIC সীমিত প্রতীক নিয়ে কাজ করতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই ১৯৯১ সালে Unicode Consortium International Organization for Standardization (ISO) যৌথভাবে ইউনিকোডের উন্নয়ন করনে। যা ইউনিভার্সাল কোড নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে গাণিতিক ও প্রায়োগিক প্রতীককে কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণের জন্য বোধগম্য করতে পারে। ইউনিকোড পূর্ব পর্যন্ত ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন ভাষায় তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব ছিলনা।
কম্পিউটারের টেক্সটকে আভ্যন্তরীন প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণ করায় এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। Windows, Java, Android, Mac OS, Linuxসহ সকল আভ্যন্তরীণ অক্ষর এককোডিং-এ ইউনিকোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভূক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি কোড তৈরি করেছে যাকে ইউনিকোড বলে। এটি ২ ১৬=৬৫৫৩৬টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। সে সকল দেশের ভাষাকে প্রকাশ করতে ৮ বিটের বেশি বিটের কোডের প্রয়োজন হয় তাদের জন্য ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়।
১৯৯৯ সালে অ্যাপল কম্পিউটার কর্পোরেশন এবং জেরক্স কর্পোরেশন এর যৌথ প্রচেষ্টায় একদন প্রকৌশলী এই কোড উদ্ভাবন করেন। এর মধ্যে ৩৯০০০ প্রতীক ইউনিকোডের আওতায় আনা হয়েছে যার মধ্যে চীনা ভাষার ২১,০০০। বর্তমানে বাংলা ভাষাও ইউনিকোডভূক্ত।
এর বৈশিষ্ট্যঃ
১. বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভূক্ত করা যায়।
২. ক্যারেক্টারকে কোড করার জন্য ১৬ বিটই ব্যবহার করা যায়।
৩. ইউনিকোড থেকে অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড কোডে পরিবর্তন করা যায়।
৪. ইহা ১৬ বিটের অদ্বিয় কোড ফলে ২ ১৬=৬৫৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।
৫. এই কোড ব্যবহার করলে নিজস্ব ভাষায় কম্পিউটার পরিচালনা করা সম্ভব।
0 comments:
Post a Comment